টাকা জমানোর উপায় ও কৌশল – Money saving tips in Bangla


(How To Save Money in Bangla): বন্ধুরা, এখনের এই যুগে আমাদের আয় করা টাকা কিভাবে কিভাবে খরচ হয়ে যায় সেই বিষয়ে আমরা তেমন বিশেষ ধ্যান দিয়ে থাকিনা।

তবে প্রায় অনেক সময় আমরা টাকা জমানোর কথাটাও কিন্তু অবশই ভাবি।

কিন্তু, বিভিন্ন রকমের সাংসারিক চাপ এর ফলে, টাকা জমানোর বিষয়টি কিন্তু কেবল আমাদের ধারণাতেই থেকে যায়।

এর কারণ, আমরা যতই বেশি টাকা আয় করিনা কেন, আমাদের হাত থেকে অপ্রয়োজনীয় টাকার খরচ হয়েই থাকে।

আর এর ফলেই, শেষে গিয়ে আমরা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য টাকা জমিয়ে রাখতে পারিনা।

টাকা জমানোর উপায় গুলো কিন্তু এমনিতে অনেক সোজা।

আপনার কেবল কিছু বিষয়ে নিজের মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।

আমরা দিনের পর দিন চাকরি করে, over time কাজ করে, extra part-time ইনকাম করেও নিজের ভবিষ্যতের জন্য টাকা জমাতে পারিনা।

এই কারণের ফলেই, ভবিষ্যতে আপনার জীবনে যদি কোনো বিপদ বা সমস্যা আসে, তখন অন্যের কাছে হাত পাতা ছাড়া কোনো উপায় আপনার কাছে থাকেনা।

তাই, আজকে আপনি যদি ৫০০০ টাকাও আয় করছেন, তাহলে সেখান থেকে ২০০০ টাকা হলেও জমা করে রাখার চিন্তা করবেন।

এভাবে, ভবিষ্যতের আর্থিক প্রয়োজনীয়তা গুলোর জন্য আপনি তৈরি হয়ে থাকতে পারবেন।

আর শেষে, যখন আপনি আর্থিক ভাবে চিন্তামুক্ত হয়ে থাকবেন, তখন আপনার জন্য আপনার জীবন অনেক সুন্দর হয়ে দাঁড়াবে।

তাই, সব সময় নিজের মোট আয়ের ৩৫% জমা করার চেষ্টায় থাকবেন।

এনাহলে, আপনি যতই বেশি টাকা আয় করে থাকুন না কেন, আপনার হাথে কোনোদিন টাকা থাকবেনা।

আর যদি হাথে টাকা নাই থাকছে, তাহলে অধিক টাকা আয় করার লাভ কি ?

বিষয়টি অবশই চিন্তা করে দেখবেন।

চলুন, নিচে আমরা “টাকা জমানোর পদ্ধতি” ও “উপায়” কিছু জেনেনেই যেগুলো আপনার কাজে আসবে। (Money saving tips in Bangla).

টাকা জমালে কি কি লাভ হবে ?

টাকা জমানোর কৌশল গুলো প্রত্যেকের জানা থাকাটা জরুরি।

কারণ, এর ফলে আপনি আর্থিক ভাবে সবল থাকতে পারবেন।

এছাড়া, নিচে বলা লাভ গুলো আপনার অবশই হবে যদি আপনি এখন থেকেই টাকা জমিয়ে রাখছেন।

  • অনেক কম সময়ে আপনি financially strong হয়ে দাঁড়াবেন।
  • আর্থিক ভাবে কারো ওপরে নির্ভর থাকতে হবেনা।
  • হঠাৎ এসে পড়া আর্থিক সংকট বা বিপদের জন্য তৈরি হয়ে থাকতে পারবেন।
  • চাকরি বা ব্যবসা নিয়ে সমস্যা হলে, কিছু দিন চিন্তা মুক্ত থাকতে পারবেন।
  • নিজের নির্দিষ্ট চাহিদা গুলোকে পূরণ করতে পারবেন। (স্বপ্নের ঘর, গাড়ি ইত্যাদি)
  •  আপনি মানসিক ভাবে অনেক হালকা এবং উৎসাহিত অনুভব করবেন।

কিভাবে টাকা জমাতে হয় ? (How to save money)

টাকা জমানোর কথা ভাবার আগেই নিজের খরচ এর পরিমানে কিভাবে কমাতে পারবেন, সেই বিষয়ে আপনার নজর দিতে হবে।

সম্পূর্ণ মাসে আপনি কত টাকা আয় করছেন, এবং কত টাকা অপ্রয়োজনীয় কাজে বা জিনিসে খরচ হচ্ছে, সেটা জেনেনিতে হবে।

হতে পারে, আপনি বা আপনার পরিবারের সদস্যরা অপ্রয়োজনীয় খরচ প্রচুর করছে ?

আপনার ঘরের মাসিক খরচ কত হচ্ছে এবং কতটা মাসিক আয় আপনি করছেন, সেটা কাগজে লিখুন।

এবার, সম্পূর্ণ জরুরি মাসিক খরচ গুলো ব্যাড দেওয়ার পর আপনার হাথে কতটা টাকা থাকছে সেটা দেখুন।

এবং, যতটুকু টাকা আপনার কাছে থেকে যাচ্ছে সেই সম্পূর্ণ extra money আপনি savings করতে পারবেন।

এভাবে, নিয়ম শৃংখল ভাবে অর্থ ব্যবস্থাপনা (money management) করার পর, “টাকা জমানো” নিয়ে আপনার কিছু জ্ঞান হয়ে যাবে।

একটি survey মাধ্যমে দেখা গেছে যে, একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মোট ইনকাম এর ৪০% টাকা জমানো সম্ভব।

কিন্তু, সেখানে সব থেকে বড় সমস্যা হলো, “নিজের অপ্রয়োজনীয় খরচ গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাটা”.

যখন নিয়মিত ভাবে টাকা জমানোর চেষ্টায় থাকবেন, কেবল তখন আপনার কাছে savings করার মতো টাকা থেকে যাবে।

নিজের পরিবারের সদস্যদের ওপরে কেবল প্রয়োজন হিসেবে টাকা খরচ করুন।

যতটা সম্ভব নিজের খরচের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন।

তাছাড়া, নিচে বলা কিছু সহজ এবং লাভজনক নিয়ম গুলো পালন করে খরচ কমাতে পারবেন।

ফলে, নিজের ভবিষ্যতের আর্থিক প্রয়োজনীয়তা ও আর্থিক সংকট গুলোর জন্য এখন থেকেই টাকা জমিয়ে / টাকা সেভ করে রাখতে পারবেন।

টাকা জমানোর সহজ উপায় গুলো – Money saving tips in Bangla

আপনি কখন থেকে টাকা আয় করছেন বা আপনার মাসিক আয় কত, সেটা কোনো ভাবেই আপনার সঞ্চয় (savings) এর ওপর প্রভাব ফেলতে পারেনা।

তবে, আপনি কত টাকা মাসিক আয় করছেন, সেই হিসেবেই টাকা সঞ্চয় করতে হবে।

যা আমি ওপরেই বললাম, “মাসিক আয়ের ৩৫% টাকা জমানোর চেষ্টা করুন”.

কিন্তু টাকা জমানোর জন্য আপনার হাতে টাকা থাকতে হবে।

আর হাতে টাকা রাখার জন্য, নিজের খরচ এর ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখাটা জরুরি।

এখন প্রশ্ন হলো,

কিভাবে নিজের মাসিক আয়ের থেকে অধিক কম টাকা খরচ করবেন ?

বা, কিভাবে নিজের খরচ এর পরিমান কমাবেন ?

নিচে আমি কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলো তুলে ধরেছি, যেগুলো ওপর নজর দিয়ে নিজের খরচ কমাতে পারবেন।

  • টাকার ব্যবস্থাপনা (money management) করা শিখুন।
  • নিজের একটি মাসিক বাজেট নির্ধারিত করুন।
  • অপ্রয়োজনীয় জিনিসে বা জায়গায় টাকা খরচ করবেননা।
  • কোনো রকমের digital loan নেওয়ার থেকে বাঁচুন।
  • Credit card ব্যবহার করবেননা।
  • Extra কেনাকাটার কোনো প্রয়োজন নেই।
  • অন্যদের ধার দেওয়ার থেকে বাঁচুন।
  • অপ্রয়োজনীয় খরচ করার স্বভাব বদলাতে হবে।
  • Car, taxi বা rickshaw নেওয়ার বিপরীতে bus ব্যবহার করুন।
  • ঘরের electricity কম ব্যবহার করুন। তাহলেই কম পরিমানে electric bill আসবে।
  • বাইরে খাবার খেলে অধিক খরচ হবে।
  • অন্যদের খুশি করার উদ্দেশ্যে বা নিজের আর্থিক স্বাধীনতা প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে টাকা খরচ করা বন্ধ করুন। Show off করবেননা।
  • যতটা সম্ভব ঘরে খুঁটি নাটি কাজ গুলো নিজেই করার চেষ্টা করবেন। আলাদা করে লোক ডাকা মানেই অপ্রয়োজনীয় খরচ।
  •  ঘুরাফেরা করা অনেক ভালো, তবে এই বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ রাখাটাও জরুরি। ঘুরাফেরাতে অধিক খরচ করবেননা।
  • জীবনে ছোট ছোট উদ্দেশ্য (goal) রাখুন। এতে, টাকা জমানোর প্রতি আপনার রুচি বাড়বে।

তাহলে, ওপরে বলা বিষয় গুলোতে ধ্যান দিলে ও মেনে চললে, আপনার মাসিক আয়ের ৩৫% আপনি আলাদা ভাবে রাখতে পারবেন।

এবং, সেই আলাদা ভাবে রাখা টাকা আপনি জমাতে পারবেন।

টাকা জমানোর উপায় গুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা

চলুন, এখন আমরা নিচে বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই,

“কি কি পদক্ষেপ নিয়ে টাকা গুলোকে খরচ হওয়ার থেকে বাঁচাতে পারবেন এবং নিজের ভবিষ্যতের জন্য কিভাবে আপনি টাকা জমাতে পারবেন”।

১. Reduce your expenses 

যদি আপনি টাকা জমাতে চাচ্ছেন, তাহলে সবচেয়ে আগেই নিজের অপ্রয়োজনীয় খরচ গুলো কমাতে হবে।

অপ্রয়োজনীয় খরচ, যেগুলোর বিষয়ে এমনিতে আমরা মন দেইনা।

তবে, যখন নিজের মাসিক খরচ গুলোকে একটি খাতায় লিখে দেখবেন, তখন বুঝতে পারবেন যে আপনি কতটা টাকা রাখতে পারতেন।

তাই, সম্পূর্ণ মাসে কিসে কিসে খরচ করেছেন, সেটা খাতাতে লিখুন এবং যেগুলো খরচ আপনার হিসেবে অপ্রয়োজনীয় সেগুলো পরের মাস থেকে আর করবেননা।

এভাবে, আপনি প্রায় অনেক টুকু টাকা প্রত্যেক মাসে বাঁচাতে পারবেন।

বন্ধুদের সাথে ঘুরাফেরা করার সময় আমরা টাকার বিষয়টা তেমন ভাবিনা।

এবং কোনো সীমা ছাড়া টাকা খরচ করি।

তাই, এই বিষয় গুলোর ওপরে নজর দিন।

আপনি নিজের এবং নিজের ঘরের জন্য প্রয়োনীয় প্রত্যেকটি জিনিস গুলো অবশই কিনতে হবে।

কিন্তু, এমন জিনিস বা চাহিদা যেগুলো ছাড়া কাম চলে যাবে, সেগুলোর ওপর টাকা নষ্ট করবেননা।

আপনার কাছে যদি ভালো ভালো কাপড় জামা বা জুতা আগের থেকেই রয়েছে, তাহলে কেবল লোক দেখানোর জন্য সেগুলো বার বার কিনে টাকা নষ্ট করবেননা।

মনে রাখবেন, কাপড় জামা কিছু দিনেই নষ্ট হয়ে যাবে।

তবে, জমিয়ে রাখা টাকার মান (value) সব সময় বেড়েই চলবে।

তাই, অপ্রয়োজনীয় খরচা গুলোর ওপর নজর দিন এবং সেগুলো বন্ধ করুন।

২. Accurate estimation of expenses

যদি আপনারা নিজের কষ্ট করে আয় করা টাকা গুলোকে জমিয়ে রাখতে চাচ্ছেন, তাহলে সবচেয়ে আগেই নিজের সম্পূর্ণ মাসের খরচ গুলোকে লিখে রাখতে হবে।

মাসের খরচের একটি আইডিয়া (idea) করে তারপর সেই হিসেবে লিস্ট তৈরি করে রাখলে, আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনি আসলে কত টাকা জমাতে পারবেন।

যেই লিস্ট আপনি বানাবেন, সেখানে কেবল জরুরি জিনিস গুলোকেই রাখতে হবে।

অপ্রয়োজনীয় খরচ গুলোকে না ধরার ফলে আপনি একটি আইডিয়া পেয়ে যাবেন যে, মোট কত টাকা আপনি চাইলে প্রত্যেক মাসে জমিয়ে রাখতে পারবেন।

যদি আপনারা টাকা জমানোর ক্ষেত্রে এই টেকনিক ব্যবহার করেন, তাহলে নিঃসন্দেহে কিছু হলেও টাকা রাখতে পারবেন।

এখন, হতে পারে প্রত্যেক মাসের শেষে আপনার হাথে অনেক কম পরিমানের টাকা থেকে যাবে যেটা আপনি জমাতে পারবেন।

কিন্তু মনে রাখবেন, অল্প অল্প করেই অনেক হয়।

যেই ছোট ছোট টাকার পরিমান আপনি প্রত্যেক মাসে জমিয়ে রাখবেন, সেই টাকা বছরের শেষে গিয়ে বড় টাকাতে পরিণত হবে।

৩. Make a budget

যদি আপনি সত্যি টাকা জমানোর বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন, তাহলে একটি বাজেট (budget) তৈরি করতেই হবে।

বাজেট তৈরি করা করার ক্ষেত্রে আমি বলতে চাচ্ছি,

আপনি কত টাকা প্রত্যেক মাসে আয় করছেন, সেই টাকার থেকে একটি নির্ধারিত পরিমান নিয়ে কেবল সেই পরিমানের মধ্যেই মাস চালানোর চেষ্টা করুন।

মানে, যদি আপনি মাসে ২০,০০০ টাকা আয় করছেন, তাহলে ১২,০০০ টাকার বাজেট ঠিক করে কেবল সেই ১২ হাজার টাকার মধ্যেই মাস চলতে হবে।

এবং, ১২ হাজারের ওপরে যেই ৮,০০০ টাকা আপনার হাতে থেকে গেলো, সেই টাকা জমিয়ে রাখুন।

এভাবেই, নিজের মোট আয়ের থেকে একটি বাজেট নিয়ে নিন এবং বাকি টাকা গুলোকে সঞ্চয় (savings) করুন।

৪. Avoid show off

অপ্রয়োজনীয় টাকা তখন অধিক ভাবে খরচ হবেই যখন আপনি কেবল লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে টাকা খরচ করছেন।

মানে, অনেক সময় আমরা এমন কিছু জায়গায় বা জিনিসে অধিক টাকা খরচ করে ফেলি যেগুলোতে খরচ করার কোনো প্রয়োজন ছিলোনা, তবে কেবল লোক দেখানোর জন্য আমরা সেটা করি।

এবং, এই স্বভাব প্রত্যেকের মধ্যেই রয়েছে এবং আমার মধ্যেও ছিল।

পরে আমি অনুভব করলাম এভাবে আমার অনেক টাকা কোনো কারণ বা প্রয়োজন ছাড়াই নষ্ট হচ্ছে।

আর আমি ১০০% বলতে পারবো যে, আপনিও লোক দেখানোর জন্য হয়তো নানান জায়গায় প্রচুর টাকা খরচ করছেন।

তবে, এই স্বভাব বন্ধ করলে আপনি আরো কিছু টাকা নিজের ভবিষ্যতের জন্য জমাতে পারবেন।

৫. Invest in mutual fund

মিউচুয়াল ফান্ড হলো টাকা বিনিয়োগ ও সঞ্চয় করার সব থেকে লাভজনক মাধ্যম।

আমি আমার ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে যতটাই টাকা জমানোর কথা ভাবছি সবটাই মিউচুয়াল ফান্ড এর মাধ্যমে।

কেননা, অন্যান্য investment plan যেমন, bank savings account, Recurring deposit account, bank FD ইত্যাদি অন্যান্য বিনিয়োগের মাধ্যম গুলোর তুলনায় মিউচুয়াল ফান্ড আপনাকে অধিক বেশি টাকা আয় করে দিবে।

তাই, ভবিষ্যতে নিজের কষ্ট করে জমানো টাকার ভালো রিটার্ন পাওয়ার জন্য অবশই “mutual fund” এর মাধ্যমে “invest” করবেন।

এখানে, আমরা অনেক আরামে প্রায় ১২% ইন্টারেস্ট প্রত্যেক বছর পেয়ে থাকি।

এবং, interest বলতে “compound interest” পাবেন।

আর যখন আপনি mutual fund এর SIP (systematic investment plan) scheme গুলোতে টাকা রাখবেন,

তখন টাকা জমানোর একটি আলাদা রকমের ইচ্ছা আপনার মধ্যে থাকবে।

৬. Set some future goals

যখন মানুষ ভবিষ্যতের কথা ভাবেনা তখন ভবিষ্যৎ নিয়ে তার কোনো চিন্তাও থাকেনা।

আর যখন, ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো চিন্তা বা পরিকল্পনা থাকছেনা তখন ভবিষ্যতের জন্য টাকা জমানোর বিষয়টাও সেই ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্যর্থ।

তাই, কালকের জন্য টাকা জমিয়ে রাখার জন্য আপনার আজকেই চিন্তা করতে হবে।

ভবিষ্যতের জন্য কিছু পরিকল্পনা (planning) অবশই করে রাখতে হবে।

যখন আপনি আজকে ভেবে রাখবেন যে, কিছু বছর পর আমার একটি ঘর বানাতে হবে, গাড়ি কিনতে হবে, বইক কিনতে হবে, বিয়ে করতে হবে ইত্যাদি, তখন আপনার মনে আজকের থেকেই টাকা জমানোর বিষয়টা ঘর করবে।

এবং কেবল তখন, আপনি সফলতা পূর্বক নিজের ভবিষ্যতের জন্য আজকের থেকেই কিছু হলেও টাকা জমানোর চেষ্টা করবেন।

মনে রাখবেন,

যেই ব্যক্তির নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই, উদ্দেশ্য নেই এবং ভবিষ্যতে কিছু একটা করার ইচ্ছা নেই, সেই ব্যক্তি কোনো দিন টাকা জমাতে পারবেনা।

আর তাই,

নিজের কষ্টের টাকা গুলোকে অল্প অল্প করে হলেও জমাতে শিখতে হবে।

আর তার জন্য, সবচেয়ে আগেই নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনার কিছু পরিকল্পনা (planning) এবং উদ্দেশ্য (goals) থাকতে হবে।

৭. Think about extra income

এরকম অনেক সময় হতেই পারে যে, আপনি টাকা জমানোর কথা ভাবছেন তবে আপনার কাছে মাসের শেষে টাকা থাকছেনা।

এই ক্ষেত্রে আপনি extra income এর কথা ভাবতেই পারেন।

আজকে আমিও আমার full-time office করার পর ঘরে এসে ব্লগিং করছি।

এবং ব্লগিং করে ভালো পরিমানে এক্সট্রা ইনকাম আমার হয়ে যাচ্ছে।

আর ব্লগিং এর থেকে আয় করা সম্পূর্ণ টাকা আমি আমার ভবিষ্যতের জন্য জমিয়ে রাখছি।

তাই, আমি এটাই বলতে চাচ্ছি যে, নিজের খালি সময় কিছু কাজে অবশই লাগান।

এবং যদি আপনি আপনার মাইনের (salary) থেকে আয় করা টাকা জমাতে পারছেননা,

তাহলে খালি সময়ে করা যেকোনো কাজের ফলে যেটাই আয় করবেন সেই সম্পূর্ণ টাকা নিজের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রাখতে পারবেন।

তাই, এখন থেকেই ভাবতে শুরু করুন যে, কিভাবে এবং কি কাজ করে অফিস করার পরেও কিছু এক্সট্রা পার্ট-টাইম ইনকাম করতে পারবেন।

৮. Think about progress 

জীবনে সময়ে সময়ে মানুষের উন্নতি অবশই হয়ে থাকে।

এবং, যদি আপনি আজকে ১০,০০০ টাকা আয় করছেন তাহলে হয়তো ২ বছর পর ২০,০০০ টাকা আয় করবেন।

কিন্তু, এটা কেবল তখন সম্ভব হবে যদি আপনি উন্নতি করার কথা চিন্তা করেন।

মনে রাখবেন, আপনি যেই কাজেই করছেন সেখানে সব সময় নিজের ক্ষেত্রে উন্নতি করার চেষ্টা করবেন।

যতটা বেশি উন্নতি আপনার হবে, ততটাই বেশি টাকা আপনি আয় করবেন এবং ততটাই বেশি টাকা আপনি জমাতে পারবেন।

আমি অনেক লোকেদের দেখেছি, যারা ১০,০০০ টাকা পেয়েও খুশি এবং বলেন যে এটাই আমার জন্য বহুত।

কিন্তু, যদি আপনি নিজের ভবিষ্যতের জন্য ভালো পরিমানের টাকা জমাতে চাচ্ছেন, তাহলে যেই টাকা এখন আয় করছেন তার থেকে আরো অধিক আয় করার কথা ভাবতে হবে।

কারণ, যখন আপনি ভাববেন, যখন আপনি স্বপ্ন দেখবেন, কেবল তখন সেটা বাস্তবে পরিণত হবে।

তাই বন্ধুরা, আপনি যতটুকুই আয় করছেন, সব সময় আরো বেশি আয় করার কথা ভাবতে হবে।

 

আমাদের শেষ কথা,

তাহলে বন্ধুরা, আজকে আমরা শিখলাম যে “কিভাবে টাকা জমাতে হয় তার কিছু কৌশল এবং উপায়”.

এর সাথেই, আমরা এমন কিছু টিপস এবং আইডিয়া জেনে রাখলাম, যার ফলে আমরা আমাদের খরচ কমাতে পারবো।

আশা করছিআজকের এই আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগেছে এবং টাকা জমানোর যেগুলি উপায় আমি বলেছি সেগুলো আপনার কাজে এসেছে।

আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশই নিজের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।

শেষে, যদি আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো সমস্যা বা সমাধান থাকে, তাহলে কমেন্ট অবশই করবেন।